দারুল ইরশাদ ওয়াদ দাওয়াহ আল ইসলামিয়া
(বহুলা মাদ্রাসা)
খলিফায়ে মাদানী হযরত শায়খ লুৎফুর রহমান বর্ণভী রহ: এর নেক দুআ’ ও ভিত্তি স্থাপনের বদৌলতে তাঁরই সুযোগ্য জামাতা হবিগঞ্জ তাবলিগী মারকাজের মুরুব্বী হযরত মাও: আব্দুচ্ছামাদ চৌধুরী দা: বা: এই মাদ্রাসাটি ১৯৭৩ সনে একটি মক্তব হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর ২০১১ সনে আল্লাহর অসীম করুণার বদৌলতে পূর্ণ মাদ্রাসা হিসেবে যাত্রা করে। আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে অতি অল্পসময়েই মাদ্রাসাটি ছাত্রদের শিক্ষা-দীক্ষা, উন্নত ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশ এবং কেন্দ্রীয় পরিক্ষাগুলোতে ধারাবাহিক আশাতীত সাফল্য ইত্যাদি ক্ষেত্রে সুনাম অর্জন করেছে। কুরআন-সুন্নাহ এর পাশাপাশি আধুনিক ও যুগোপযোগী বিষয়গুলো সমন্বয় করে এই মাদ্রাসার শিক্ষা সিলেবাস প্রণয়ন করে পাঠদান করায় অত্র মাদ্রাসা থেকে শিক্ষা অর্জনকারী ছাত্ররা যুগের চ্যালেঞ্জ মুকাবেলা করার পর্যাপ্ত যোগ্যতা নিয়ে বেড়ে উঠছে।
সমস্ত প্রশংসা সে মহান সত্তার জন্য, যিনি মানব জাতির কল্যাণে নাযিল করেছেন পবিত্র কুরআনুল করীম। আর একমাত্র কুরআন-সুন্নাহ তথা ইসলামিক শিক্ষাই জাতিকে আদর্শ ও সুনাগরিক হিসাবে গড়ে তুলতে সক্ষম। এর মধ্যে রয়েছে মুসলিম উম্মাহর দুনিয়া ও আখেরাতের সফলতা...
শিক্ষার মানোন্নয়ন ও মেধা বিকাশের লক্ষ্যে জাতীয় ও স্থানীয় শিক্ষাবোর্ডের ফাইনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা হয়
হিফজ বিভাগে আন্তর্জাতিক মানের তেলাওয়াতে হদর এর প্রশিক্ষণ এবং স্থানীয় ও জাতীয় প্রতিযোগিতাগুলোতে ছাত্রদের কে প্রেরণ করা হয়।
দারুল উলুম দেওবন্দের ঐতিহাসিক নেসাবে তা’লিম ও আধুনিক শিক্ষা করিক্যুলামের আলোকে প্রণীত সিলেবাসে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত।
দেশের বিখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে উত্তীর্ণ আলেম ও শিক্ষাবিদদের মাধ্যমে পাঠদান
দক্ষ, অভিজ্ঞ ও আমলী উস্তাদগণের নজরদারীতে ২৪ ঘণ্টার সুনির্দিষ্ট রুটিনের আলোকে ছাত্রদেরকে সময় অতিবাহিত করতে হয় এবং সুন্নতের পাবন্দী করতে হয়।
দৃষ্টিনন্দন প্রাকৃতিক ও শতভাগ পরিচ্ছন্ন পরিবেশে পড়া লেখা ও আড়াই শতাধিক আবাসিক ছাত্রদের জন্য তিন বেলা স্বাস্থসম্মত খাবার।
নুরানী শিশু শ্রেণি হতে ৩য় শ্রেণি পর্যন্ত। প্রত্যেক মুসলিমকে কুরআন পড়া জানতে হবে। যে নিজেকে মুসলিম হিসাবে দাবী করবে তাকে অবশ্যই কুরআন শিক্ষা করতে হবে। কুরআন শিক্ষা করা এতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যে, আল্লাহ তা‘আলা কুরআন শিক্ষা করা ফরয করে দিয়েছেন
ইবতেদায়ী ৪র্থ শ্রেণি হতে একাদশ (জালালাইন) শ্রেণি পর্যন্ত। ইসলামে ইলমের গুরুত্ব অপরিসীম। মুসলিমের প্রতি ইসলামের প্রথম বার্তাই- اِقْرَاْ- পড়, ইলম অর্জন কর। ইসলাম থেকে ইলমকে আলাদা করা অসম্ভব। ইসলামের প্রতিটি অংশের মধ্যেই ইলম বিরাজমান। ইলম ছাড়া যথাযথভাবে ইসলাম পালন সম্ভব নয়।
মহান আল্লাহতায়ালার শ্রেষ্ঠদান পবিত্র কোরআন আর এই কোরআন হিফজ করার মর্যাদাও অনেক অনেক বেশি। হাফেজ হওয়ার কারণে তাকে সব সময় কোরআন চর্চা করতে হয়, এতে সে প্রতি হরফে ১০ নেকি করে পেয়ে থাকে। নাজেরা থেকে তাকমীল (সমাপণী) পর্যন্ত ৩ বৎসরের মধ্যে একজন ছাত্র কুরআনের হাফেজ হয়ে যায় ইনশাআল্লাহ।
উপযোগী ক্লাসের ছাত্রদেরকে আবশ্যিকভাবে নিয়মিত কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দেয়া হয় এবং প্রশিক্ষণের উপর নিয়মতান্ত্রিক পরিক্ষা গ্রহণ করা হয়।
মাদ্রাসার প্রাইমারী ও মাধ্যমিক ক্লাসগুলোতে নিয়মতান্ত্রিক কুরআন বিশুদ্ধ করার জন্য ক্বেরাত ক্লাসের পাশাপাশি পবিত্র রমজান মাসে স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের বিশুদ্ধ কুরআন তেলাওয়াত শিক্ষা দানের জন্য প্রতি বৎসর আল খলীল কুরআন শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ক্বেরাত প্রশিক্ষণ কোর্স চালু থাকে।
মোট শিক্ষক
কর্মকর্তা-কর্মচারী
বিভাগ সমূহ
মোট শিক্ষার্থী ২০২২ঈ.
১৯৫৯ খ্রিষ্টাব্দে দাওরা হাদিস সমাপনের পর থেকেই তিনি দারুল উলুম করাচিতে অধ্যাপনা করে আসছেন। ১৯৮২ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ২০০২ খ্রিষ্টাব্দের মে মাস পর্যন্ত তিনি পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের শরিয়া এ্যাপ্লাইট বেঞ্চের বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। “মিজান ব্যাংক” প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে পাকিস্তানে সর্বপ্রথম তিনিই ইসলামী
দান ও অর্জনের কারণে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করে। প্রতি সপ্তাহের রবিবার তিনি করাচির দারুল উলুম মাদরাসায় তাযকিয়াহ তথা আত্মশুদ্ধি সম্পর্কে বয়ান করেন। বর্তমানে তিনি দারুল উলুম করাচিতে সহীহ বুখারী,ফিকহ এবং ইসলামী অর্থনীতির দরস (কোন বিষয়ে পরামর্শ বা বক্তব্য প্রদান করা) দেন। ১৯৭০ সালে প্রেসিডেন্ট জুলফিকার আলী ভুট্টো আমলে পাকিস্তান ন্যাশনাল এ্যাসেম্বলি ক
সম্পর্কিত আইন প্রণয়নে তিনি অগ্রবর্তী ভূমিকা পালন করেন। ১৯৬৭ সাল থেকে তিনি উর্দু মাসিক পত্রিকা আল-বালাগ এবং ১৯৯০ সাল থেকে ইংরেজি মাসিক পত্রিকা আল-বালাগ ইন্টারন্যাশনালের প্রধান সম্পাদক পদে আছেন।ইসলামী ব্যাংকিং ও অর্থনীতি সম্পর্কে তিনি বিভিন্ন পত্রিকা ও সাময়িকীতে বহু প্রবন্ধ লিখেছেন। তিনি আরবি,
আমার জন্য এটি অত্যন্ত আনন্দের মুহূর্ত যে, আমি আপনাদের সামনে আলোচনা করার সুযোগ পাচ্ছি। আমার এ আনন্দ আরো বৃদ্ধি পেয়েছে যখন জেনেছি যে, এখানে যারা উপস্থিত আছেন তারা নিজেদের ব্যবসাকে শরীয়তের আদলে গড়ে তোলার চিন্তা ও সংকল্প নিয়ে উপস্থিত হয়েছেন। আজকাল সভা-সম্মেলন তো অনেক হয়। বক্তৃতা-বিবৃতিও হয় প্রচুর। কিন্তু সেই সভা, সম্মেলন, বক্তৃতা ও বয়ান আমাদের বাস্তব জীবনে কোনো বড় পরিবর্তন সাধন করে না। এর এক কারণ, সেগুলো ‘বসলাম, বললাম এবং চলে গেলাম’ এই গতানুগতিকতার মধ্যে সীমাবদ্ধ থেকে যায়।
যাত্রাবাড়ী, ঢাকা, বাংলাদেশ