নাহমাদুহু ওয়ানুসাল্লি আলা রাসুলিহিল কারীম ওয়া আলা আলিহি ওয়া আসবিহী আজমায়ীন। আম্মা বা’দ।
বিশ্বাবাসীর হেদায়াতের লক্ষ্যে যুগে যুগে অগণিত নবী ও রাসুল এ দুনিয়াতে এসেছেন। মহা মহীম আল্লাহ রাব্বুল আলামীন নবী রাসূলগণের মাধ্যমে যাবতীয় শিরক ও কুফর কে মিটিয়ে তাওহীদের ঝান্ডাকে দুনিয়ার বুকে সমুন্নত করেছেন। এ মহৎ লক্ষ্য অর্জনে আখেরী নবী হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আল্লাহ তা’আলা নিম্নোক্ত চারটি বিশেষ দায়িত্ব দিয়ে দুনিয়াতে প্রেরণ করেছেন।
১. মানব জাতিকে পবিত্র কুরআনে কারীমের বিশুদ্ধ তেলায়াত শিক্ষা দেয়া।
২. কুরআনুল কারীমের মর্মার্থ শিক্ষা দেয়া।
৩. হিকমাহ্ তথা সুন্নাহ্ এর শিক্ষা দেয়া।
৪. মানব জাতিকে বাহ্যিক ও আত্মিক অপবিত্রতা থেকে মুক্ত করা।
আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শুভাগমনের মাধ্যমে মানবজাতির হেদায়াতের পথ প্রদর্শক নবী-রাসূলগণের পরিসমাপ্তি ঘটে। এরপর এ দায়িত্ব অর্পিত হয় ওয়ারাসাতুল আম্বিয়া উলামায়ে কেরামের উপর। মহান রাব্বুল আলামীন কর্তৃক প্রণীত উপরোক্ত কর্মসূচীর সফল বাস্তবায়নের জন্য নবী ও সাহাবায়ে কেরামের আদর্শে আদর্শবান আলেম ও সুনাগরিক তৈরীর লক্ষ্যে হক্কানী উলামায়ে কেরাম যুগে যুগে গড়ে তুলেছেন অগণিত দ্বীনী প্রতিষ্ঠান।
এরই ধারাবাহিকতায় খলিফায়ে মাদানী হযরত শায়খ লুৎফুর রহমান বর্ণভী রহ: এর নেক দুআ’ ও ভিত্তি স্থাপনের বদৌলতে তাঁরই সুযোগ্য জামাতা হবিগঞ্জ তাবলিগী মারকাজের মুরুব্বী হযরত মাও: আব্দুচ্ছামাদ চৌধুরী দা: বা: এই মাদ্রাসাটি ১৯৭৩ সনে একটি মক্তব হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর ২০১১ সনে আল্লাহর অসীম করুণার বদৌলতে পূর্ণ মাদ্রাসা হিসেবে যাত্রা করে। আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে অতি অল্পসময়েই মাদ্রাসাটি ছাত্রদের শিক্ষা-দীক্ষা, উন্নত ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশ এবং কেন্দ্রীয় পরিক্ষাগুলোতে ধারাবাহিক আশাতীত সাফল্য ইত্যাদি ক্ষেত্রে সুনাম অর্জন করেছে। কুরআন-সুন্নাহ এর পাশাপাশি আধুনিক ও যুগোপযোগী বিষয়গুলো সমন্বয় করে এই মাদ্রাসার শিক্ষা সিলেবাস প্রণয়ন করে পাঠদান করায় অত্র মাদ্রাসা থেকে শিক্ষা অর্জনকারী ছাত্ররা যুগের চ্যালেঞ্জ মুকাবেলা করার পর্যাপ্ত যোগ্যতা নিয়ে বেড়ে উঠছে।