জামিয়ার বৈশিষ্ট্য

জামিয়ার বৈশিষ্ট্য

বৈশিষ্ট্যসমূহ: 

✅    দারুল উলুম দেওবন্দের ঐতিহাসিক নেসাবে তা’লিম ও আধুনিক শিক্ষা করিক্যুলামের আলোকে প্রণীত সিলেবাসে শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালিত। 
✅    শিক্ষার মানোন্নয়ন ও মেধা বিকাশের লক্ষ্যে জাতীয় ও স্থানীয় শিক্ষাবোর্ডের ফাইনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ। 
✅    দেশের বিখ্যাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে উত্তীর্ণ আলেম ও শিক্ষাবিদদের মাধ্যমে পাঠদান। 
✅    বিশুদ্ধ তিলাওয়াতে কুরআনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান। 
✅    শিক্ষাসিলেবাসে কুরআন-সুন্নাহর বিষয়গুলোর পাশাপাশি যুগোপযোগী আলেম তৈরীর লক্ষ্যে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত বাংলা, গণিত, ইংরেজী, বিজ্ঞান, ভূগোল, অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও ইতিহাসের সমন্বিত পাঠদান।
✅    আরবী, বাংলা, ইংরেজী ও উর্দু ভাষার হস্তাক্ষর প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। 
✅    আরবী, বাংলা ও ইংরেজী ভাষার বক্তৃতা প্রশিক্ষণ, দেয়ালিকা প্রকাশ ও বাৎসরিক বাংলা,আরবী ও ইংরেজী ভাষায় দেয়ালিকা প্রকাশ করা হয়। 

✅    সাহিত্য, উপস্থাপনা, আবৃত্তি ও হামদ্-নাত এর প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। 
✅    আবশ্যিকভাবে কম্পিউটারের বেসিক কোর্সগুলোর নিয়মিত ক্লাস নেয়া হয়। 
✅    আরবী ও ইংরেজী ভাষার কথোপকথন শিখানো হয় ও তিন ভাষায় বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। 
✅    ছাত্রদের পড়া লেখা গতিশীল করা ও সৃষ্টিশীলতা শিক্ষা দানের উদ্দেশ্যে বৎসরে ৩টি উন্মুক্ত ছাত্র-শিক্ষক সমন্বিত ইলমী মজলিস বা শিক্ষা পরামর্শ সভার আয়োজন করা হয়। 
✅  শারীরিক ও মানসিক উৎকর্ষ সাধনের লক্ষ্যে বাৎসরিক শিক্ষা সফর ও দৈনন্দিন শরীয়তসম্মত খেলা-ধূলার আয়োজন করা হয়। 
✅    হিফজ বিভাগে আন্তর্জাতিক মানের তেলাওয়াতে হদর এর প্রশিক্ষণ এবং স্থানীয় ও জাতীয় প্রতিযোগিতাগুলোতে ছাত্রদের কে প্রেরণ করা হয়। 
✅   দক্ষ, অভিজ্ঞ ও আমলী উস্তাদগণের নজরদারীতে ২৪ ঘণ্টার সুনির্দিষ্ট রুটিনের আলোকে ছাত্রদেরকে সময় অতিবাহিত করতে হয় এবং সুন্নতের পাবন্দী করতে হয়। 
✅    ছাত্রদের আমল-আখলাক ও আমলওয়ালা ইলম অর্জনের জন্য মাসিক তারবিয়তী জলসার আয়োজন করা হয়। 
✅    ছাত্র-উস্তাদগণকে রুটিনবদ্ধ নিয়মে দাওয়াত ও তাবলিগের কাজ নিয়মিতভাবে করতে হয়। 
✅    ছাত্রদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের জন্য উস্তাদদের তত্ত¡াবধানে ”আল ইরশাদ ছাত্র সংসদ” সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। 
✅    কৃতী শিক্ষার্থীদের উৎসাহমূলক বিভিন্ন বিষয়ে পুরস্কার ও বৃত্তি প্রদান করা হয়। 
✅    এতিম, গরীব ও মেধাবী ছাত্রদের ফ্রি খাবার, চিকিৎসা ও আবাসন ব্যবস্থা চালু রয়েছে। 
✅    মেধাবী ছাত্রদের মাসিক ফি ও আবাসন ব্যবস্থায় বিশেষ ছাড় দেয়া হয়।
✅    মাদ্রাসার চতুর্দিকে নিরাপত্তা বেস্টনী এবং পুরো ক্যাম্পাস সিসি ক্যামেরার আওতাধীন
✅    দৃষ্টিনন্দন প্রাকৃতিক ও শতভাগ পরিচ্ছন্ন পরিবেশে পড়া লেখা ও আড়াই শতাধিক আবাসিক ছাত্রদের জন্য তিন বেলা স্বাস্থসম্মত খাবার। 
✅    এক পিরিয়ডে সম্পূর্ণ ক্লাস সমাপ্ত করে বাদ জোহর থেকে আসর পর্যন্ত পূর্ণ বিশ্রাম এবং বাদ মাগরিব থেকে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত আবশ্যিকভাবে উস্তাদগণের নেগরানীতে সকর ছাত্রকে তাকরার-মুতালাআয় নিয়োজিত থাকতে হয়। 

arrow_upward